আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলে প্রশাসনের নজরদারি ও তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম মেঘনা নদীপথে স্পিডবোটযোগে উপজেলার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন—বাশগাড়ী, মির্জারচর ও চরমধুয়া এলাকায় আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) বায়েজিদ বিন মুনসুর, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আদিল মাহমুদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুনমুন পাল এবং উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা।
অভিযানকালে তারা মির্জারচর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম পরিদর্শন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘুরে দেখা এবং স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এছাড়া চরমধুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রস্তুতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও শিক্ষা কার্যক্রমের খোঁজখবর নেন।
একই দিনে মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করা হয় এবং ভবিষ্যতে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরিদর্শন শেষে ইউএনও মো. মাসুদ রানা বলেন,
“মেঘনা নদীর রায়পুরা অংশে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে চরাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতিও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
সহকারী পুলিশ সুপার বায়েজিদ বিন মুনসুর বলেন,
“নির্বাচনকালীন সহিংসতা রোধে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হচ্ছে। অস্ত্র উদ্ধার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
স্থানীয়দের মতে, প্রশাসনের এই অভিযানে চরাঞ্চলে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছিল। প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ও নিরাপত্তাবোধ ফিরে এসেছে।
উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে ও চলাকালীন সময়ে চরাঞ্চলের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিশেষ টহল ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।