খুলনায় প্রাক্তন আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরী ও প্রাক্তন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দীনের বিরুদ্ধে ঘুষ ও কমিশনের অভিযোগে তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে অভিযোগকারী রেদওয়ান শেখ তামিমকে তদন্তের ধার্য দিনে না ডাকার অভিযোগে তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বুধবার সকাল ১১টায় খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য ভবনে এ তদন্ত পরিচালনা করেন খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হিসাব ও অর্থ বিভাগ) রেজা মোহাম্মদ মহসিন। তদন্তে খুলনা খাদ্য বিভাগের মহেশ্বরপাশা সিএসডির ব্যবস্থাপক মো. মোশাররেফ হোসেনসহ খাদ্য বিভাগের প্রায় ১০ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগকারী শেখ তামিম জানান, “তদন্তের দিন আমাকে বা ছাত্র প্রতিনিধি ও ওএমএস ডিলারকে কোনো চিঠি বা বার্তা দেওয়া হয়নি। অভিযোগকারীকেই বাদ দিয়ে তদন্ত করা প্রহসন ছাড়া কিছু নয়।” তিনি অভিযোগ করেন, “অভিযুক্তদের পক্ষে তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে।”

অভিযোগ রয়েছে, তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে খাদ্য বিভাগের হিসাব রক্ষক ও প্রধান সহকারী মো. মিলন আলী সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।

উল্লেখ্য, ইকবাল বাহার চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ তুলেছিলেন খালিশপুরের এক ওএমএস ডিলার ইমন শেখ। এ ঘটনায় ১১ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়। এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির খুলনা জেলা সদস্য রেদওয়ান শেখ তামিমও খাদ্য উপদেষ্টার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।

ইকবাল বাহার চৌধুরী ২০২৪ সালের মার্চ মাসে খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে যোগ দেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ পুরনো। একইভাবে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দীনের বিরুদ্ধেও বোরো সংগ্রহ মৌসুমে ব্যাপক অনিয়ম ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।

ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন যাতে তদন্ত নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয়।