যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেন পাকা কলার জন্য ঘুষ নেওয়ার স্বীকারোক্তির পর তাকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ যশোর শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘রুখবো দুর্নীতি, গড়বো দেশ; হবে সোনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক গণশুনানিতে দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী এ নির্দেশ দেন।
অভিযোগকারী রুস্তম আলী জানান, আলমগীর হোসেন তার কাছ থেকে পাকা কলা ছাড়াও ১০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছিলেন। পরে আরও ৬ লাখ টাকা দাবি করা হয়, যা না দেওয়ায় তার জমির ডিসিআর অন্যকে হস্তান্তর করা হয়।
শুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন বলেন, “দুদক দুর্নীতি একেবারে নির্মূল করতে পারবে না, তবে তা কমানো সম্ভব। গণশুনানির মাধ্যমে আমরা জনগণকে কর্মকর্তাদের মুখোমুখি করছি না, বরং দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করে দুর্নীতি কমানোর চেষ্টা করছি।”
জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় দুদক যশোর শাখার আয়োজনে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, এবং জেলা প্রশাসক মোঃ আজাহারুল ইসলাম মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শুনানিতে জেলার সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ৩৭টি দপ্তরের ৭৫টি অভিযোগের ওপর আলোচনা করা হয়। শেষে কিছু বিষয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং কিছু বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।