‘তথ্য অধিকার আইন ২০০৯’-এর তাৎপর্য ও বাস্তব প্রয়োগ নিয়ে ময়মনসিংহে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার নগরীর গ্রীন পয়েন্ট ট্রেনিং সেন্টারে পরিবেশ বিষয়ক আইনজীবী সংস্থা (বেলা) ও অন্যচিত্র ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বেলার নেটওয়ার্ক সদস্য এবং স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
অন্যচিত্র ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেবেকা সুলতানার আয়োজনে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মীর আকরাম উদ্দিন আহমদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আসাদুল্লাহ আল গালিব এবং বেলার ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর এ. এম. এম. মামুন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তথ্য অধিকার আইন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসনব্যবস্থা শক্তিশালী করার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ আইন নাগরিকদের তথ্যপ্রাপ্তির সাংবিধানিক অধিকারকে বাস্তব রূপ দিয়েছে। তারা আরও বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত হলে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পায়, যা দুর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখে।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের তথ্য অধিকার আইনের কাঠামো, আবেদন প্রক্রিয়া, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ভূমিকা, আপিল ও পুনর্বিবেচনা প্রক্রিয়া, এবং মাঠপর্যায়ে আইনের বাস্তব প্রয়োগ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
বেলার ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর এ. এম. এম. মামুন বলেন, “তথ্য পাওয়া মানে ক্ষমতায়ন— নাগরিক যখন তথ্য জানবে, তখনই সে নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবে।”
অন্যচিত্র ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেবেকা সুলতানা বলেন, “তথ্য অধিকার আইন কেবল কাগজে নয়, বাস্তব প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।”
জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মীর আকরাম উদ্দিন আহমদ বলেন, “এই আইন বাস্তবায়ন শুধু প্রশাসনের নয়, সমাজের প্রতিটি মানুষের অংশগ্রহণের ওপর নির্ভরশীল।”
আয়োজকরা জানান, তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে মাঠপর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে বেলা ও অন্যচিত্র ফাউন্ডেশন নিয়মিতভাবে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করবে, যাতে নাগরিকরা নিজেদের অধিকার রক্ষায় আরও দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারেন।