ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করেছে স্থানীয় সংগঠন ও সাধারণ মানুষ। এ সময় নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনের দুই যাত্রীসহ তিনজন আহত হন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নিলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভৈরব রেলওয়ে জংশনে এই অবরোধ শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে “ভৈরবকে জেলা চাই” স্লোগান দিতে থাকেন এবং প্রায় এক ঘণ্টা ২০ মিনিট উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে রাখেন। পরে ট্রেন চালক ট্রেন ছাড়ানোর চেষ্টা করলে আন্দোলনকারীরা উত্তেজিত হয়ে ট্রেনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় তিনজন আহত হন। পরে সকাল ১১টা ৪২ মিনিটে ট্রেনটি পুনরায় যাত্রা শুরু করে।

অবরোধের কারণে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস খানাবাড়ি স্টেশনে, চট্টগ্রামগামী কনটেইনার ট্রেন নরসিংদির দৌলতকান্দিতে, আখাউড়াগামী তিতাস কমিউটার মেথিকান্দায় এবং ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তালশহর স্টেশনে আটকা পড়ে। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রেলওয়ে পুলিশ মাইকিং করে যাত্রীদের সচেতন থাকার আহ্বান জানায়।

এ বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাঈদ আহমেদ বলেন, “উপকূল এক্সপ্রেসে হামলার ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”