দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় কটিয়াদী-মঠখোলা সড়ক এখন খানাখন্দে পরিণত। একসময় ব্যস্ত এই সড়ক এখন যাত্রী ও চালকদের জন্য মরণফাঁদ। প্রতিদিনই যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ঘটছে দুর্ঘটনা, আর চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়কের প্রায় প্রতিটি অংশেই বড় বড় গর্ত ও ভাঙাচোরা পিচ। কটিয়াদী থেকে বেতাল বাজার পর্যন্ত অংশটি সবচেয়ে বেশি নাজুক অবস্থায় আছে। কোথাও পানি জমে আছে, কোথাও খোয়া উঠে রাস্তায় ফাঁটল ধরেছে। ভারী যানবাহন আটকে পড়ে নিয়মিতই তৈরি হচ্ছে যানজট।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দায়সারা নিম্নমানের সংস্কারকাজ ও নিয়মিত তদারকির অভাবেই সড়কটির এই বেহাল দশা। বর্ষা এলে এসব গর্তে পানি জমে চলাচল আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাকুর রহমান আরমান বলেন,

“প্রতিবছর একই সমস্যা। স্থায়ী সমাধানের জন্য টেকসই ও পরিকল্পিত কাজ দরকার। রাস্তা উঁচু করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখলেই টেকসই হবে।”

ট্রাকচালক রবিউল ইসলাম জানান,

“গাড়ি নিয়ে এ সড়কে উঠলেই গর্তে পড়ে বিপদে পড়তে হয়। গাড়ি নষ্ট হয়, মালপত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাজ হয়, কিন্তু টেকে না।”

প্রতিদিন অসংখ্য বাস, ট্রাক, সিএনজি ও মোটরসাইকেল এই সড়ক দিয়ে ঢাকা, গাজীপুর ও নরসিংদীর সঙ্গে যাতায়াত করে। তাই এ পথটি হাওর এলাকার মানুষের ঢাকামুখী প্রধান সংযোগপথ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

স্কুলছাত্রী মাহি আক্তার বলেন,

“বর্ষার সময় স্কুলে যাওয়া দুঃসহ হয়ে পড়ে। অনেক সময় কাদা আর পানির কারণে ক্লাসে পৌঁছাতে দেরি হয়।”

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন,

“সড়কটির স্থায়ী সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কটিয়াদী থেকে বেতাল বাজার পর্যন্ত অংশে কাজের দরপত্র মূল্যায়ন চলছে। অনুমোদন পেলেই দ্রুত সংস্কার শুরু হবে।”