দেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জেলা শহর কুমিল্লা ২০১১ সালের ১০ জুলাই ২৭টি ওয়ার্ড ও ৫৩.০৪ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে সিটি করপোরেশনে রূপ নেয়। তবে দ্রুত বর্ধনশীল এই নগরীতে এখন জনদুর্ভোগের সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যানজট।
নগরীর ভৌগলিক অবস্থান ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সংকীর্ণ সড়ক, অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং ভাসমান দোকানদারদের দৌরাত্ম্যে নগরবাসীর জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাদশামিয়া বাজার, কান্দিরপাড়, নজরুল এভিনিউ, রেসকোর্স, টমসমব্রিজ, ঝাউতলা, মোগলটুলী ও ইপিজেড রোডসহ প্রায় সব প্রধান সড়কেই লেগে থাকে দীর্ঘ যানজট।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শত শত ভাসমান দোকানী ফুটপাত ও রাস্তার উপর পসরা সাজিয়ে রাখায় পথচারীরা হাঁটার জায়গা পাচ্ছেন না, আর যানবাহনও চলছে ধীরগতিতে। প্রশাসন মাঝে মাঝে উচ্ছেদ অভিযান চালালেও তেমন কোনো স্থায়ী ফল মেলেনি। অভিযান শেষে হকাররা পুনরায় আগের জায়গায় ফিরে আসে।
নজরুল এভিনিউর বাসিন্দা ও কুমিল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মো. রাসেল বলেন, “যানজট নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে কান্দিরপাড়সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো পুরোপুরি হকারদের দখলে চলে যাবে।”
নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি স্কুলের ছাত্রী তানিয়া আক্তার সিগ্ধ্যা বলেন, “শহরে ফুটপাত দখলের পাশাপাশি মিশুক ও ইজিবাইকের অব্যবস্থাপনাও যানজটের অন্যতম কারণ। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ— দ্রুত স্থায়ী সমাধান করা হোক।”
এ বিষয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহআলম বলেন, “জনবল সংকটের কারণে অভিযান নিয়মিত করা সম্ভব হয় না। তবে আমরা নতুন জনবল প্রশিক্ষণ দিচ্ছি এবং কমিউনিটি পুলিশ ব্যবহারের পরিকল্পনাও করছি, যাতে ভাসমান দোকানীরা রাস্তায় বসতে না পারে।”
তিনি আরও জানান, নগরবাসীর ভোগান্তি কমাতে ও যানজট নিরসনে সিটি করপোরেশন দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।