ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় এক তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে ছোট বোনের জামাইকে তারই বড় ভাই হত্যার শিকার হয়েছেন। নিহতের নাম মো. আহাদ আলী (৬০)। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীপুর মাইজহাটি গ্রামের ফজলুল হক (৬৫) এবং আহাদ আলী একই বাড়িতে বসবাস করতেন। আহাদ আলী প্রায়ই রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্থানীয় চায়ের দোকানে গিয়ে আড্ডা দিতেন এবং রাতের বেলায় বাড়িতে ফেরার সময় গেইট খুলতে ফজলুল হককে বাধ্য হতে হতো। গেইট খোলার বিষয়টি নিয়েই দুই ভাইয়ের মাঝে প্রায়ই মনোমালিন্য হতো।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনার দিনও আহাদ আলী খাবার খেয়ে বাইরে গেছেন। বাড়ি ফেরার সময় গেইট খোলার বিষয় নিয়ে ফজলুল হক ও আহাদ আলীর মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে ফজলুল হক শাবল দিয়ে আহাদ আলীর পেটের ওপর পরপর আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই আহাদ আলী লুটিয়ে পড়েন। চিৎকার শুনে পরিবারের অন্য সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. চান মিয়া জানান, ফজলুল হক ও আহাদ আলীর মধ্যে সম্পর্ক ছিল সম্বন্ধির। ফজলুল হকের ছেলে ও আহাদ আলীর মেয়ে বিয়ের সম্পর্ক থাকায় পারিবারিক যোগাযোগ আরও জটিল ছিল। হঠাৎ তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ রিপন চন্দ্র গোপ জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। একই সঙ্গে ফজলুল হককে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।