নাইক্ষ্যংছড়িতে স্কুল শিক্ষিকা জেসমিন আক্তারের ছিনতাইয়ের ঘটনায় অংসাপ্রু মার্মা (২৪) নামে এক যুবককে স্থানীয়দের সহযোগিতা ও পুলিশের বিশেষ টিমের অভিযানে আটক করা হয়েছে।

ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার দুপুরে, যখন নাইক্ষ্যংছড়ি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার বাড়ি ফেরার পথে পথরোধ করে তাকে মারধর করে তার ব্যাগ, মোবাইল ফোন, ব্যাংক চেক ও কানের দুল ছিনিয়ে নেন। শিক্ষিকা জেসমিন জানান, তিনি মাটিতে পড়ে গেলে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন, শিক্ষক সমাজ ও স্থানীয় হেডম্যান–কারবারিদের উপস্থিতিতে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্তকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজির করার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে স্থানীয়দের সহায়তায় এবং থানা পুলিশের বিশেষ টিমের অভিযানে অংসাপ্রু মার্মাকে জারুলিয়াছড়ি এলাকার গহীন পাহাড় থেকে আটক করা হয়।

ওসি মাসরুরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তকে থানা পুলিশের মাধ্যমে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে নাইক্ষ্যংছড়িতে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার জন্য থানা পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ফুটবল খেলোয়াড় ও মার্মা সম্প্রদায়ের নেতা উছাই মং মার্মা বলেন, “অপরাধীর কোনো জাত বা ধর্ম নেই, অপরাধী অপরাধীই। আমরা ঘটনাটি নিয়ে বিব্রত, দুঃখিত ও লজ্জিত। এলাকায় প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় অপরাধীকে ধরে ফেলতে পেরেছি।”

অভিযোগের প্রেক্ষিতে আহত শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নাইক্ষ্যংছড়ির শিক্ষক সমাজ দ্রুত বিচার এবং অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।