রাঙ্গামাটির বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার ও শাখা বনবিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে। দেশের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য এই উৎসব বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়।

সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে রাঙ্গামাটির রাজবনবিহারসহ অন্যান্য বিহারে অনুষ্ঠিত হয় বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, পি-দান ও প্রাতঃরাশ, মঙ্গল সুত্র পাঠ, বুদ্ধ পুজা, পঞ্চশীল প্রার্থনা, মহাসংঘ দান, প্রদীপ পুজা, হাজার বাতি দান ও ফানুস দান। অনুষ্ঠানে রাজবনবিহারের আবাসিক প্রধান ও বভন্তের প্রধান শিষ্য প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির দায়ক-দায়িকাদের ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন।

ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজবনবিহারের উপসক উপাসিকা পরিষদের সহ-সভাপতি নিরুপা দেওয়ান। বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, জেলা পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট দীপেন দেওয়ান। হাজারো পূর্ণার্থীর “সাধু-সাধু” ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো প্রাঙ্গণ।

এদিন সন্ধ্যায় রাজবনবিহারে হাজার বাতি প্রজ্জ্বলণ ও ফানুস উত্তোলনের মাধ্যমে প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠান সমাপ্ত হবে।

উল্লেখ্য, আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উৎসব পালন করেন। আজকের দিন থেকে পার্বত্য অঞ্চল ও দেশের বিভিন্ন বিহারে শুরু হবে কঠিন চীবর দানোৎসব, যা আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী রাজবনবিহারে অনুষ্ঠিত হবে। এই উৎসবে দেশ ও বিদেশ থেকে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন উপসক উপাসিকা পরিষদের সহ-সভাপতি নিরুপা দেওয়ান।