বান্দরবান সদরের কালাঘাটা বড়ুয়ার টেকস্থ আম্রকানন গৌতম বিহারে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে আম্রকানন গৌতম বিহার পরিচালনা কমিটি ও দায়ক-দায়িকার আয়োজনে, এবং ত্রিরত্ন কল্যাণ সংঘের সার্বিক সহযোগিতায় এই বৌদ্ধ ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

কঠিন চীবরদান উপলক্ষে ভোর ৫টায় বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় সূত্রপাঠ, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, পূজনীয় ভিক্ষুসংঘের প্রাতঃরাশ, বুদ্ধপূজা, অষ্টপরিষ্কার দান, মহাসংঘদান, কঠিন চীবরদান ও ধর্মদেশনা অনুষ্ঠিত হয়।

চীবর উৎসর্গ ও ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন—
শীলঘাটা পরিনির্বান বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত রত্নপ্রিয় মহাথের,
চেমী কপিলা বস্তু বৌদ্ধ বিহারের ভদন্ত দীপংকর মহাথের,
জ্ঞানরত্ন বৌদ্ধ বিহারের ভদন্ত সত্যজিত মহাথের,
মছদিয়া জ্ঞানবিকাশ বৌদ্ধ বিহারের ভদন্ত ধর্মতিলক থের,
বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের ভদন্ত চন্দ্রজ্যোতি স্থবির,
আম্রকানন গৌতম বিহারের মহা-অধ্যক্ষ ভদন্ত প্রজ্ঞাকান্তি থেরসহ বিভিন্ন বিহারের অধ্যক্ষরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—
জেলা কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রাজপুত্র চহ্লাপ্রু জিমি,
সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি বেসান্ত বড়ুয়া,
বান্দরবান পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র দিলীপ কুমার বড়ুয়া,
আম্রকানন গৌতম বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি শ্যামল বড়ুয়া,
কার্যকরী সভাপতি সুমন বড়ুয়া,
সাধারণ সম্পাদক বিকাশ বড়ুয়া,
ত্রিরত্ন কল্যাণ সংঘের সভাপতি সুলাল বড়ুয়া,
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জয় বড়ুয়াসহ বিহারের দায়ক-দায়িকা ও অসংখ্য বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।

বৌদ্ধ শাস্ত্র অনুসারে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টাটকা কাপড় প্রস্তুত করে ভিক্ষুদের দান করার এই দান প্রক্রিয়াকে ‘কঠিন চীবর দান’ বলা হয়। এটি বৌদ্ধ ধর্মে সর্বোত্তম দান হিসেবে বিবেচিত। প্রতি বছর সুখ ও শান্তি কামনায় বান্দরবানের বিভিন্ন বিহারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা মাসব্যাপী এই কঠিন চীবর দানোৎসব পালন করে থাকেন।