নেপালে দুর্নীতি ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের বিরুদ্ধে তরুণদের নেতৃত্বে শুরু হওয়া “জেনারেশন জেড আন্দোলন” দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। টানা কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী কে.পি. শর্মা ওলি।
রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে শুরু হওয়া এ তরুণ আন্দোলন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। আন্দোলনকারীরা সরকারের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আন্দোলনের ফলে বেশ কয়েকটি সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সংসদ ভবনের সামনেও ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর নেপালের রাষ্ট্রপতি অস্থায়ীভাবে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। দেশটির রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তরুণদের এ আন্দোলন নেপালের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, আন্দোলন দমনে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করা সরকারের জন্য অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা শান্তিপূর্ণ সংলাপ ও গণতান্ত্রিক সংস্কার কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছে