দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়লেও সঠিক সংরক্ষণের অভাবে প্রতিবছর বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। এই সমস্যা মোকাবেলায় কৃষকদের আধুনিক সংরক্ষণ প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে রাজবাড়ীতে এক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর ২০২৫) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের হলরুমে “বাংলাদেশের পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকায় জলবায়ুর প্রতিকূল প্রভাব প্রশমনে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কৃষক পর্যায়ে পেঁয়াজ সংরক্ষণের অভিযোজন প্রকল্প” এর আওতায় এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় রাজবাড়ীর কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলার ৬০ জন কৃষক অংশ নেন।
উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ শহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ মাহফুজুর রহমান, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম রসূল ও কালুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাঈমুর রহমান।
প্রশিক্ষণে কৃষকদের আধুনিক “এয়ার ফ্লো মেশিন” ব্যবহারের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে পেঁয়াজ সংরক্ষণের পদ্ধতি শেখানো হয়। প্রশিক্ষকরা জানান, এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অল্প জায়গায় নয় মাস পর্যন্ত পেঁয়াজের গুণগত মান অক্ষুন্ন রাখা সম্ভব। কর্মশালায় ব্যবহারিক প্রদর্শনীর মাধ্যমে ৩০০ মণ পেঁয়াজ কীভাবে সংরক্ষণ করা যায় তা দেখানো হয়।
প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ মাহফুজুর রহমান বলেন,
দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের পরিমাণ পর্যাপ্ত থাকলেও সংরক্ষণের ঘাটতির কারণে প্রতিবছর ৪ থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। কৃষকদের হাতে এয়ার ফ্লো মেশিন তুলে দিলে তারা নিজেদের উৎপাদন সংরক্ষণ করতে পারবে। এতে কৃষক যেমন লাভবান হবে, তেমনি দেশের আমদানি নির্ভরতাও কমবে।