দীর্ঘ প্রায় তিন মাস পানির নিচে নিমজ্জিত থাকার পর অবশেষে ভেসে উঠেছে রাঙামাটির বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণ ‘ঝুলন্ত সেতু’, যা রাঙামাটির প্রতীক বা “সিম্বল অব রাঙামাটি” নামেও পরিচিত।
বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, কাপ্তাই হ্রদের পানি নামতে শুরু করায় সেতুর পাটাতনের ওপর থেকে পুরোপুরি পানি নেমে গেছে। যদিও এখনো সেতুর নিচের দিকে পানির স্তর ছুঁই ছুঁই করছে, তবুও দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দৃশ্যমান হওয়ায় পর্যটকদের মধ্যে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, “গতকাল আংশিক দেখা গেলেও আজ সকালে পুরো সেতুটি ভেসে উঠেছে। দীর্ঘদিন পানিতে থাকার কারণে কিছু স্থানে মেরামতের প্রয়োজন রয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে সংস্কার শেষে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে সেতু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কাজ শুরু করেছি। এরপর রঙের কাজ করা হবে। পাশাপাশি টিকেটের মূল্য ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করার পরিকল্পনাও রয়েছে।”
পর্যটকরা জানিয়েছেন, সেতুটি আবারও দৃশ্যমান হওয়ায় তারা আনন্দিত। এক পর্যটক বলেন, “আমরা জানতাম ঝুলন্ত সেতু পানির নিচে। আজ সকালে রাঙামাটি এসে শুনলাম পানি নেমে গেছে। তাই সঙ্গে সঙ্গে চলে এলাম দেখতে। এখন কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণের আগেই এখানে ছবি তুলছি।”
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় ঝুলন্ত সেতুটি পানির নিচে চলে যায়। টানা ২ মাস ২৫ দিন পর বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সেতুটি ভেসে ওঠে। যদিও এর আগে বছর কয়েকবার অল্প সময়ের জন্য নিমজ্জিত হয়েছিল, কিন্তু এবারই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে পানির নিচে ছিল এই বিখ্যাত সেতু।
রাঙামাটির অন্যান্য জনপ্রিয় পর্যটন স্থানের মধ্যে রয়েছে সুবলং ঝরনা, পলওয়েল পার্ক, প্রশাসকের বাংলোর পার্ক, বেরান্নে পর্যটন এলাকা, সাজেক ভ্যালি, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী পেপার মিলস ও কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান।