কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় এমপিওভুক্ত ৫১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো কর্মবিরতি পালন করেছেন।

সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। তারা জানিয়েছেন, ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন না। কর্মসূচি অনুযায়ী, শিক্ষকদের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বাস্তবায়ন এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকগণের ওপর হামলার প্রতিবাদে এই কর্মবিরতি ডেকেছে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট।

রোববার দুপুর পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, জলকামান ও লাঠিচার্জ করে। এতে অনেক শিক্ষক বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েন। পরে কেউ কেউ প্রেসক্লাব এলাকায় ফিরে অবস্থান নেন, আবার কেউ শহীদ মিনারে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান। সেখান থেকেই তারা লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

মুন্সী আ. হেকিম কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুল হক জোয়ারদার আলমগীর জানান, গত ১৩ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত শিক্ষক সমাবেশে শিক্ষা উপদেষ্টা এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসবভাতা বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয় মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করলে শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়।