বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ও দলের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, সিলেট-৩ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার এম এ সালাম ৩১ দফার সমর্থনে ঐতিহাসিক গণসমাবেশ ও গণমিছিল করেছেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল পয়েন্টে অনুষ্ঠিত এ গণমিছিলে অংশ নেন অন্তত ১০ সহস্রাধিক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।
সিলেট-৩ আসনের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিকদলসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর থেকেই দলীয় ও সাধারণ মানুষের ঢল নামে চন্ডিপুল এলাকায়। বেলা আড়াইটায় সমবেত জনতার উপস্থিতিতে চন্ডিপুল পয়েন্টে গণসমাবেশ শুরু হয়। যানজট এড়াতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ব্যারিস্টার এম এ সালাম বলেন—
“আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান যে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ঘোষণা দিয়েছেন, তা ঘরে ঘরে এবং জনে জনে পৌঁছে দিতে হবে। এটি শুধু বিএনপির নয়, বরং পুরো জাতির মুক্তির রূপরেখা।”
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ পুনর্গঠন করা হবে। এতে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও জনগণের সমঅধিকার নিশ্চিত হবে।
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। তাই দেশ ও জাতিকে রক্ষায় ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।”
নারীদের ক্ষমতায়ন ও কৃষকদের উন্নয়নে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “প্রত্যেক নারীকে একটি করে পরিবার কার্ড দেওয়া হবে, যাতে শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিতে সহায়তা পাবেন তারা। কৃষকদের জন্য থাকবে কৃষি কার্ড, যার মাধ্যমে তারা সহজে সরকারি সহায়তা ও সুবিধা ভোগ করবেন।”
ব্যারিস্টার সালাম নেতাকর্মীদের সততা ও ধৈর্য ধরে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন,
“চাঁদাবাজ ও লুটতরাজকারীদের বিএনপিতে কোনো জায়গা হবে না। বিএনপি চায় জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী শাহাবুদ্দিন এবং পরিচালনা করেন সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন—
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী আব্দুন নুর চেয়ারম্যান, গোলাম রব্বানী, প্রচার সম্পাদক লোকমান আহমদ, যুবদল সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাহসিন শারমিন তামান্না, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তছলিম আহমদ নেহারসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে ব্যারিস্টার সালামের নেতৃত্বে বিশাল গণমিছিল বের হয়, যা চন্ডিপুল থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবীর রোড ঘুরে ক্বীনব্রিজ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় হাজারো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে ঐতিহাসিক এই গণমিছিল শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।
ব্যারিস্টার এম এ সালাম কর্মসূচি সফল করায় সকল নেতাকর্মী ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।