বিদেশের মাটিতে হাজারো স্বপ্ন নিয়ে প্রতিদিন নতুন করে দিন শুরু করেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। পরিবারের সুখ-শান্তির জন্য তাঁরা ঘরবাড়ি, প্রিয়জন, শৈশবের স্মৃতি সবকিছু ফেলে দূর দেশে ছুটে গেছেন। কিন্তু সেখানে জীবন ততটা সহজ নয়।  

মধ্যপ্রাচ্যের কঠিন গরম, ইউরোপের ঠাণ্ডা কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার কারখানার ভারী কাজ—সব জায়গায় প্রবাসীদের ঘাম ঝরাতে হয় অমানবিক পরিশ্রমে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজের পরও অনেক সময় যথাযথ মজুরি মেলে না। কারও আবার ভিসা সমস্যা, কারও কাগজপত্র জটিলতা, আবার কেউ কেউ নিয়োগকর্তার অবিচারের শিকার হন।  

অনেক প্রবাসী অভিযোগ করেন, তারা চাকরির চুক্তি অনুযায়ী সুবিধা পান না। সঠিক চিকিৎসা, নিরাপত্তা বা আইনগত সহায়তার অভাব তাঁদের জীবনকে আরও কঠিন করে তোলে। কেউ কেউ দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি বা মৃত্যুর শিকারও হন। এসব দুর্ঘটনা পরিবারগুলোকে চরম দুঃখ-কষ্টের মধ্যে ফেলে দেয়।  

তবুও দেশের প্রতি ভালোবাসা আর পরিবারের দায়িত্ববোধ থেকে তাঁরা নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। প্রবাসীরা জানেন, তাঁদের উপার্জিত অর্থেই দেশে পরিবার চলবে, সন্তানরা পড়াশোনা করবে, আবার অনেক ক্ষেত্রে দেশের অর্থনীতিও চাঙ্গা থাকবে।  

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা হলে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে। তাই প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বিদেশস্থ বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোকে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। প্রবাসীরা যাতে সম্মানজনক ও নিরাপদভাবে কাজ করতে পারেন—এটাই সময়ের দাবি।