ফরিদপুরে বাক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের দায়ে ইসমাইল শেখ (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানার অর্থ জেলা কালেক্টরের মাধ্যমে আদায় করে ভুক্তভোগীর পরিবারকে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ হেফাজতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইসমাইল শেখ ফরিদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চতর গ্রামের আমিন শেখের ছেলে।
ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌসুলী (পিপি) গোলাম রব্বানী খান ভূঁইয়া জানান, এটি ফরিদপুরের একটি চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলা। ভিকটিম বাক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ছিলেন এবং প্রায়ই পাগলের মতো ঘুরে বেড়াতেন। ২০২২ সালের আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হন বলে জানা যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিম গর্ভবতী হলে বিষয়টি পরিবার জানতে পারে। পরিবারের সন্দেহে স্থানীয়ভাবে শালিস ডাকলে ইসমাইল শেখ প্রথমে ঘটনাটি স্বীকার করলেও পরবর্তীতে পালিয়ে যান।
২০২৩ সালের ৬ জুন ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী নারী মৃত নবজাতক সন্তানের জন্ম দেন। খবর পেয়ে পুলিশ নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে।
এরপর ২০২৩ সালের ৯ জুন ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ইসমাইল শেখকে একমাত্র আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন।