আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে সিলেট মহানগর জামায়াত শুক্রবার আম্বরখানায় লিফলেট বিতরণ এবং গণসংযোগ কার্যক্রম চালিয়েছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং জামায়াতের পাঁচ দফা দাবির বাস্তবায়নে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ।

ফখরুল ইসলাম বলেন, “চব্বিশের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশে ইতিবাচক রাজনৈতিক সূচনা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের আগেই ফের পেশী শক্তির প্রদর্শন শুরু হয়েছে, যা পুরনো ফ্যাসিবাদী কায়দায় নীল নকশার নির্বাচন আয়োজনের ষড়যন্ত্রের অংশ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আমাদের দাবিগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করুক।”

তিনি আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের কর্মসূচী যুগপৎ ঘোষণা করেছে, কিন্তু একটি দল এবং তার সঙ্গে থাকা ক্ষুদ্র দলগুলো এই দাবির উপেক্ষা করে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চাইছে। “আমরা নির্বাচন সমর্থন করি, কিন্তু নির্বাচনের আগে জাতি সংস্কারের দৃশ্যমান কার্যক্রম চাই। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না,” ফখরুল ইসলাম বলেন।

ফখরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ভোটপ্রক্রিয়া ও রাজনীতিতে জোরপূর্বক ক্ষমতার প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, “জাতির পক্ষ থেকে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য, জুলাই সনদের আইনী ভিত্তি, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে লেভেল প্লে ফিল্ড থাকা এবং গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হওয়া প্রয়োজন। বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ভারতীয় তাঁবেদার ও ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিচার এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় ছাত্র ও জনতা পুনরায় রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।”

জামায়াতের পাঁচ দফা দাবি হলো:
১. আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে আয়োজন করা।
২. পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিশ্চিত করা।
৩. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লে ফিল্ড নিশ্চিত করা।
৪. গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করা।
৫. বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ভারতীয় তাঁবেদার ও ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের বিচার করা এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

উক্ত কর্মসূচিতে সিলেট মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর, সহকারী সেক্রেটারী, বায়তুল মাল সেক্রেটারী, বিভিন্ন থানা ও ইউনিটের নেতা-নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগকালে শুক্রবারের গণমিছিল সফল করার জন্য সিলেটবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।