বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা বলছে—তাদের প্রতীকে ভোট দিলে বেহেশত পাওয়া যাবে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার এবং ইসলামের অপব্যবহার।”

বুধবার (১৫ অক্টোবর) খুলনার কয়রা উপজেলায় আয়োজিত ‘যুব সমাজের অঙ্গীকার, ফেরাতে হবে ভোটের অধিকার’ শীর্ষক যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আজিজুল বারী হেলাল বলেন, “জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির রাজনীতি করছে। তাদের ভাষা অশ্রাব্য ও নোংরা। ইসলামকে রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে সংসদে গেলে কয়রার মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ—কপতাক্ষ ও সাতবাড়িয়া নদীর ভাঙন থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। ইনশাআল্লাহ বেড়িবাঁধ পুনর্নির্মাণ করে স্থায়ী সমাধান আনা হবে।”

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “উপদেষ্টাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রশাসনের কর্মকর্তারাও কোনো দলের প্রভাবমুক্ত থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্নে ভূমিকা রাখবেন—এটাই জনগণের প্রত্যাশা।”

তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দেন, “ধানের শীষের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে ইনশাআল্লাহ এক বছরের মধ্যেই এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে। দরিদ্র পরিবারের জন্য থাকবে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ এবং কৃষকদের জন্য ‘কৃষি কার্ড’, যার মাধ্যমে তারা ন্যায্য মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কৃষি উপকরণ পাবেন।”

এ সময় তিনি সব রাজনৈতিক দলকে ‘জুলাই সনদে’ স্বাক্ষর করে নির্বাচনকে অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত করার আহ্বান জানান এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে যুব সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান মন্টু ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইবাদুল হক রুবায়েদ এবং বিশেষ বক্তা ছিলেন যুবদলের সদস্য সচিব নাদিমুজ্জামান জনি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কয়রা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. শরিফুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. মোহতাসিম বিল্লাহ এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ইছানুর রহমান।

সমাবেশে খুলনা জেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।