বর্তমান সময়ের ব্যস্ত নগর জীবনে চাকরি অনেকের জীবনের অপরিহার্য অংশ। তবে এই চাকরি জীবনই অনেক সময় হয়ে ওঠে মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও ক্লান্তির মূল কারণ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নির্দিষ্ট রুটিনে বাঁধা জীবন, কাজের চাপ, অফিস রাজনীতি, টার্গেট পূরণের দৌড় — সব মিলিয়ে কর্মজীবন যেন এক অনবরত দৌড়ের নাম।
চাকরি জীবনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সময় স্বল্পতা। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, নিজের জন্য কিছু সময় বের করা — এসব যেন বিলাসিতার পর্যায়ে চলে গেছে। বিশেষ করে বড় শহরের কর্মজীবীরা যানজট, কর্মস্থলের চাপ ও মানসিক ক্লান্তির কারণে প্রতিদিনই নতুন করে যুদ্ধ করেন।
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, দীর্ঘ সময় ধরে এমন চাপ চলতে থাকলে তা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। অনেকেই অবসাদ, অনিদ্রা ও উদ্বেগে ভোগেন, যার ফলাফল কর্মক্ষমতা হ্রাস এবং পারিবারিক সম্পর্কে টানাপোড়েন।
তবে সব কিছুই নেতিবাচক নয়। চাকরি আমাদের আত্মনির্ভরতা, আর্থিক স্থিতি এবং সামাজিক মর্যাদা দেয়। শুধু দরকার ভারসাম্য রক্ষা করা। কাজের ফাঁকে বিশ্রাম, পর্যাপ্ত ঘুম, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো এবং নিজের শখকে সময় দেওয়া— এই ছোট ছোট বিষয়গুলো চাকরি জীবনের ভার লাঘব করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন পুরোপুরি নিজের জন্য রাখুন, কাজ থেকে দূরে থেকে শরীর ও মনকে পুনর্জীবিত করুন। তাহলেই চাকরি জীবনের চাপ সামলানো অনেক সহজ হয়ে যাবে।